Monday, May 22, 2017

50th anniversary of Naxalbari uprising

চারু মজুমদারের সংগৃহীত রচনা সংকলন: চেয়ারম্যানের তিনটি লেখা / যুব ও ছাত্র সমাজের প্রতি / ঐতিহাসিক 16 ই এপ্রিল


কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সারা ভারত কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন

(নভেম্বর, 1967)

চেয়ারম্যানের তিনটি লেখা

1

চেয়ারম্যানের তিনটি লেখা - জনগণের সেবা করো, ডা: নর্ম্মান বেথুন স্মরণে যে বোকা বুড়ো লোকটা পাহাড় সরিয়েছিল; খুব অল্প কথায় কমিউনিস্টদের আদর্শ, কর্মপ্রণালী ও লক্ষ্য-সম্পর্কে বলা আছে. এই তিনটি লেখা অমূল্য. কাজেই এ তিনটি লেখাকে অধ্যয়ন করা প্রত্যেক কমিউনিস্টদের অবশ্য কর্তব্য. প্রথম কথা, কমিউনিষ্টের সমস্ত কার্যকলাপ হবে একটি লক্ষ্য সাধন এবং তা হোল জনসাধারণের কল্যাণ সাধন করা. কমিউনিস্ট বিপ্লবী, কারণ বিপ্লব ছাড়া জনসাধারণের কল্যাণ করা যায় না. যেহেতু জনতার কল্যাণ করার জন্য বিপ্লব দরকার, তাই বিপ্লবের প্রয়োজনে সে আন্তর্জাতিকতাবাদী. এই আন্তর্জাতিকতা নিঃস্বার্থে এবং কমিউনিস্ট জানে তার কাজ সহজ নয়, কাজেই তাকে দাঁত কামড়ে একটা কাজে লেগে থাকতে হয়. এই বারবার চেষ্টা করার দায়ীত্ব কমিউনিস্টের আছে. এই সবকয়টা গুণ কমিউনিস্টদের না থাকলে সে কমিউনিস্ট নয়. কাজেই এ কয়টা গুণ কমিউনিস্টকে অতি অবশ্যই অর্জন করতে হবে. এছাড়াও এ কয়টা লেখাতে আছে আরও অনেক তত্ত্ব. আমার যেগুলো মনে হচ্ছে সেগুলো জানাচ্ছি. যেমন জনগণের সেবা করো লেখাটায় জীবন ও মৃত্যু সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন. এই লেখাটা অধ্যয়ন করলেই যে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে আসে এবং যেটা মধ্যবিত্ত জীবন যাত্রার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তা হল এই-সংগ্রামে আমার কি হবে? আমি কি চাই? আমি কি এই মুহূর্তে জনতার স্বার্থে মরতে রাজী আছি? জনতার স্বার্থে মরাটাই একটা মানুষের পক্ষে সবচেয়ে মহৎ দায়িত্ব, সে মৃত্যু বিপ্লবের যে কোন কাজেই হোক না কেন. চেয়ারম্যান বলেছেন সংগ্রাম করলেই মৃত্যু আছে, কাজেই মৃত্যুকে ভয় করলে চলবে না. চেয়ারম্যান বলেছেন, জনতার স্বার্থে যখন কাজ করছো তখন অন্যের সমালোচনায় অস্থির হয়ে উঠছো কেন? যে কোন লোকই হোক না কেন, তার কাছ থেকে উপদেশ নিতে বাধা কি? সত্যিই সে যদি কোন সদুপদেশ দেয় যা করলে জনতার উপকার হবে, বিপ্লবের পক্ষে যাবে, তাহলে সেই উপদেশ নেব না কেন? এই তো তিনি বলেছেন, সদুপদেশ, এমন কি পার্টির বাইরে থেকেও এলে তাকে নিতে হবে. তিনি বলেছেন, যে কেউ পার্টির বা জনতার কোন ভাল কাজ করেছে তার মৃত্যুতে শোক জানাতে হবে, মিটিং করতে হবে.

ডা: নর্ম্মান বেথুন স্মরণে-লেখায় তিনি আন্তর্জাতিকবাদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন. তিনি বলেছেন, যে দেশ পদানত, আর যে দেশ পদানত করেছে, তার শ্রমিকশ্রেণীর মধ্যে কোন বিরোধ নেই, এবং পদানত দেশের মুক্তি ছাড়া উন্নত দেশের মুক্তি নেই. একথা ডা: বেথুন বুঝেছিলেন বলেই সমুদ্র পার হয়ে তিনি এসেছিলেন চীনের মুক্ত অঞ্চলে. কী প্রত্যাশা তাঁর ছিল নিজের সম্বন্ধে? একজন বড় সার্জন-কী না পেতে পারতেন তিনি ধনতান্ত্রিক দুনিয়ায়! সব ছেড়েছুড়ে তিনি এলেন কেন? এই নিঃস্বার্থ ত্যাগ তাঁর এসেছিল এই রাজনৈতিক চেতনা থেকে. কাজেই রাজনৈতিক চেতনার তাৎপর্য হচ্ছে এইখানে. দ্বিতীয়ত: এই লেখায় চেয়ারম্যান দেখিয়েছেন. কমিউনিস্ট কি ধরনের কাজ করে. স্বভাবতই সবচেয়ে কঠিন কাজ, সবচেয়ে নিঃস্বার্থভাবে. শুধু তাই নয়, তথাকথিত টেকনিক্যাল কাজ, যাকে মধ্যবিত্তরা অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখে, সেই রকম টেকনিক্যাল কাজ করতে গিয়ে ডা: নর্ম্মান বেথুনের মত বিখ্যাত সার্জন জীবন দিলেন. কাজেই নর্ম্মান বেথুন থেকে শিক্ষা কোন কাজ ছোট নয়-জনতার কল্যাণে সব রকম কাজই সমান মূল্যবান. এই লেখায় চেয়ারম্যান কমিউনিস্টের মূল্যায়ন করেছেন. তাঁর লেখায় তিনি বলেছেন-ভাল কমিউনিস্ট সেই যে সবচেয়ে কঠিন কাজের দায়ীত্ব নেয় এবং পূর্ণ করে. যে কমিউনিস্টরা মুখে বড় বড় কথা বলে এবং কাজের সময় সবচেয়ে সহজ কাজের দায়ীত্ব নেয় তারা ভাল কমিউনিস্ট নয়.

যে বোকা বুড়ো লোকটা পাহাড় সরিয়েছিল-এই লেখায় চেয়ারম্যান মধ্যবিত্ত চালাকি ও বুদ্ধিমত্তার পরিহাস করেছেন. ও বুদ্ধিমত্তার কোন দাম নেই. বরঞ্চ একটা 'মুর্খ কৃষকের' যুগ যুগ সঞ্চিত অভিজ্ঞতা সঠিক পথ বাতলার. বারবার একটা কাজ করা মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীর কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং সে কাজ সে ঘৃণা করে. একজন কৃষক তার জীবনের অভিজ্ঞতায় শিখেছে একটা কাজ বারবার করতে হয় দৃঢ়তার সাথে. বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া যায় না. কিন্তু এভাবে কাজ করেই একদিন সফল হওয়া যায়.

এ কথাগুলো মনে হোল এই তিনটি লেখা থেকে. সব কমরেডরা যখন বারবার পড়েন তখন হয়তো আরও অনেক মূল্যবান তত্ত্ব বের করতে পারবেন. এই অনুশীলন করা আমাদের পার্টিতে নেই. কাজেই এ সবগুলো আমাদের শুরু করতে হবে. আশা করি যুব কমরেডরা এটি পড়ে নূতন উৎসাহ পাবেন অনুশীলন করার.

7 ই জানুয়ারী, 1968

যুব ও ছাত্র সমাজের প্রতি

অক্টোবর সমাজবাদী বিপ্লবের দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নে, মহান মার্কসবাদী-লেনিনবাদী নেতা কমরেড স্তালিনের পর, সংশোধনবাদী চক্রের হাতে রাষ্ট্র, পার্টি ও সেনা বিভাগের নেতৃত্বে চলে যায় এবং তারই সুযোগ নিয়ে এই সংশোধনবাদী চক্র বুর্জোয়া একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করে. এই সংশোধনবাদী চক্র আজ সারা দুনিয়ার সংশোধনবাদীদের নেতা ও কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে. বুর্জোয়া একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর স্বভাবতই এরা সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রধান মিত্র হয়েছে এবং সহযোগিতা বিশেষভাবে ঘনীভূত হয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাথে; কারণ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আজ সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের নেতা এবং জার্মানী, ইটালী ও জাপানের আক্রমণাত্মক ভূমিকা আরও তীব্র ও ব্যাপকভাবে সারা বিশ্বে চালাচ্ছে. সোভিয়েত রাষ্ট্রের নেতারা এইসব আক্রমণাত্মক কাজকে সমর্থন করছে এবং লেনিনের নামে এই সব আক্রমণকে ছোট করে দেখাচ্ছে. এবং বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহায়তায় পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে সাম্রাজ্যবাদীদের সহযোগিতার ঔপনিবেশিক শোষণ ও পরোক্ষ শাসন চালাচ্ছে. এই সব কার্যকলাপের ফলে সোভিয়েত রাষ্ট্র ও পার্টির নেতারা আজ পৃথিবীর সমস্ত মুক্তি সংগ্রামের শত্রু, মহান চীনের শত্রু, কমিউনিজমের শত্রু, এমনকি সোভিয়েত জনগণেরও শত্রু. ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও এরা মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের সহযোগী হিসাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিচালনা করে, ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষকে শোষণ করে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার মতো তারা ভারতীয় প্রতিক্রিয়াশীল সরকারের মিত্র ও তাকে সাহায্য করছে. কাজেই ভারত বর্ষের মুক্তি সংগ্রাম সোভিয়েত বুলেটের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এবং সোভিয়েত রাষ্ট্র শক্তিকে আঘাত করেই একমাত্র সফল হতে পারে. এই ঘটনা ঘটেছে বলেই ডাঙ্গে চক্র ও নয়া সংশোধনবাদী নেতৃত্ব তাদের কার্যকলাপের দ্বারা ভারতীয় প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের সাথে হাত মিলিয়েছে এবং সব রকম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শত্রু হয়ে গেছে.

বুর্জোয়া প্রচার ও সাম্রাজ্যবাদীদের প্রচারে এরা বড় সচেতন ও সক্রিয় সমর্থক. পৃথিবীতে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলেই দুনিয়াতে চেয়ারম্যান মাওয়ের চিন্তাধারাই একমাত্র মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হয়েছে এবং এই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মারফৎ তিনি মার্কসবাদ-লেনিনবাদকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং সমৃদ্ধ করেছেন. তারই ফলে পৃথিবী আজ চেয়ারম্যান মাও-সেতুঙ এর চিন্তাধারার যুগ. তাই চেয়ারম্যানের চিন্তাধারাকে বলা যায় সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসের যুগের মার্কসবাদ. ছাত্র ও যুব কর্মীর তাই রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়েছে মার্কসবাদের এই নতুন ও বিকশিত রূপ চেয়ারম্যানের চিন্তাধারাকে অনুশীলন করা এবং কাজে লাগান. এ কাজ যে করবে না সে মার্কসবাদের নীতিগত শিক্ষা অর্জন করতে পারবে না. কাজেই তাঁদের কোটেশনস অফ চেয়ারম্যান মাও-সেতুঙ এর অনুশীলন করতে হবে. চেয়ারম্যান বলেছেন: ছাত্র ও যুবক-তাকেই বিপ্লবী বলা যায় যদি তারা শ্রমিক ও কৃষক জনতার সাথে মিশে যেতে পারে এবং জনতার মধ্যে কাজ (travail de masse) করে. আমাদের হাতে মহান চীনের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত « গণযুদ্ধ সম্পর্কে উদ্ধৃতি » আছে. এই বইটির বাংলা অনুবাদও 'দেশব্রতী' করেছেন. এই পুস্তকটি করা হয়েছে বিপ্লবী শ্রমিক-কৃষকদের জন্যে. ওটাই আমাদের প্রচারের ও আন্দোলনের হাতিয়ার (propagande et matériel d'agitation). এই বইটি নিয়ে কত সংখ্যক শ্রমিক ও কৃষক জনসাধারণকে শোনান হল এবং বোঝান হল তারই উপর নির্ধারিত হবে কর্মীটি বিপ্লবী কিনা. আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি ছাত্র আন্দোলনের ভাল বক্তা এবং ছাত্রদের দাবী বা কোনও রাজনৈতিক ব্যারিকেড করা ছেলেও পরে আই. এ. এস পরীক্ষা দিয়ে হাকিম হয়েছে অর্থাৎ সোজাসুজি প্রতিবিপ্লবী ক্যাম্পে যোগ দিয়েছে. তাই চেয়ারম্যান বলেছেন: যে ছাত্র-যুবক, কৃষক ও শ্রমিক জনতার সাথে মিশে যেতে পারে তাঁরাই বিপ্লবী এবং যারা পারবে না তারা প্রথমে অবিপ্লবী এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিবিপ্লবী ক্যাম্পে যোগ দেবে. এ শিক্ষা শুধু চীনের নয়, এ শিক্ষা পৃথিবীর সমস্ত দেশের. এ কাজ না করলে শহরে বিপ্লবী কর্মীরা হতাশাগ্রস্ত ও অধঃপতিত (degene nominale et démoralisé) হয়ে যাবে, এটাই আমার অভিজ্ঞতা.

ছাত্র ও যুবকদের রাজনৈতিক সংগঠন অনিবার্য ভাবেই রেডগার্ড সংগঠন. এবং এদের কাজ হবে চেয়ারম্যানের কোটেশনগুলো যতো ব্যাপক অঞ্চলে সম্ভব প্রচার করা.

দেশব্রতী, ২ রা মে, 1968

 

ঐতিহাসিক 16 ই এপ্রিল

3

[নিগ্রো জাতির উপর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের হিংস্র দমননীতির বিরুদ্ধে আমেরিকার নিগ্রো জনগণ যে ব্যাপক ও সশস্ত্র প্রতিরোধ চালাচ্ছেন তাকে অভিনন্দন ও সমর্থন জানিয়ে চেয়ারম্যান মাও 1968 সালের 16 ই এপ্রিল যে ঐতিহাসিক বিবৃতি (পরিশিষ্ট-খ (1) দ্রষ্টব্য) দেন, সেই বিবৃতি উপলক্ষে এই রচনাটি - লাল সংবাদ ]

16 ই এপ্রিল পৃথিবী এক নতুন যুগে এসে দাঁড়িয়েছে. সে যুগকে বলা চলে বিশ্ববিপ্লবের যুগ. চেয়ারম্যান পৃথিবীর বৃহত্তম ও হিংস্রতম সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসের ডাকই শুধু দেননি, তিনি সাথে সাথে ডাক দিয়েছেন দেশে দেশে জাতীয় বিপ্লব সংগঠিত করা এবং বিপ্লবী সংগ্রাম শুরু করা, যার বিরাট দাবদাহে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে না, সাথে সাথে ধ্বংস হবে প্রতিক্রিয়াশীল সোভিয়েত সংশোধনবাদ, আর তার দেশী-বিদেশী অনুচরেরা, ধ্বংস হবে দেশে দেশে প্রতিক রিয়াশীল শক্তি জোট এবং গড়ে উঠবে এক শোষণহীন বিশ্বব্যবস্থা. যুগ যুগ ধরে লাঞ্ছিত পরাধীন শোষিত মানুষের স্বপ্ন আজ সফল হওয়ার দিন এসেছে. কর্ণধার চেয়ারম্যান মাও বিশ্ব মানবের একমাত্র পরিত্রাতা. বিশ্ববিপ্লবের রক্ত ​​পতাকা তিনি তুলে ধরেছেন. তিনি নেতৃত্ব নিয়েছেন. জয় এবার আমাদের হবেই. দীর্ঘজীবী হোন চেয়ারম্যান মাও, বহুদিন ধরে বাঁচুন তিনি. আমরা দেখে যাব স্বাধীন মুক্ত ভারতবর্ষের উজ্জল সূর্যালোক. পূর্ব দিগন্তের সূর্যরশ্মি পশ্চিম দিগন্তকে উদ্ভাসিত করবে. সমস্ত গ্লানি আর অপচয়, ধ্বংস ও মৃত্যুর বিভীষিকা থেকে পৃথিবী হবে মুক্ত. আমরা সেই মহান যুগে এসে পৌঁচেছি. দায়ীত্ব আমাদের অনেক. সেই দায়ীত্ব আমরা পালন করতে পারবো, কারণ, অসীম শক্তির আধার চেয়ারম্যান যে আজও বেঁচে আছেন. তিনি আমাদের মনে আনবেন সূর্যের উত্তাপ. আমরা ভাঙবো জীর্ণ পুরাতন কলঙ্কিত এই ব্যবস্থাকে. আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সারা পৃথিবীর লোক, কারণ আমরা যে পঞ্চাশ কোটি. এই পঞ্চাশ কোটির দেশ জাগলে কি অসাধারণ শক্তি জন্ম দেবে, কি অসাধ্য সাধন তারা করবে! জনতার উপর বিশ্বাস রেখে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলুন. জয় আমাদের হবেই.

চেয়ারম্যান মাও জিন্দাবাদ!

জিন্দাবাদ ভারতবর্ষের জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব!

দেশব্রতী, ২ রা মে 1968

No comments:

Post a Comment